চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৫টি বিদ্যালয়ের ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে উপজেলা প্রকৌশল ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে আবেদন করা হলেও সংস্কারের জন্য কোন বরাদ্দ আসেনি। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভূক্ত হওয়ায় ঐসব বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা ভীতির মধ্যে রয়েছে। এসব বিদ্যালয় ধ্বসে পড়ে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকায় রয়েছে তারা। অনেক সময় এসব বিদ্যালয়ের প্লাস্টার খসে পড়ে শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলো পূনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ঐ বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান চালাচ্ছেন। বিদ্যালয়গুলো ১০-১৫ বছর পূর্বে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজের সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য কাজগুলো নিম্নমানের হয়েছে। নির্মাণকাজের সময় নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় কাজের গুণগতমান খারাপ হওয়ায় ঐ বিদ্যালয়গুলো অতি তাড়াতাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এ দিকে উপজেলা প্রকৌশল ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে সংস্কারের জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছেন। একাধিক অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভূক্ত হওয়ায় সন্তানদেরকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। তাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে প্রতি মুহুর্তে আতংকে থাকি। কখন যেন দূর্ঘটনা ঘটে। তারা জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলো পূনঃনির্মাণের জন্য দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জামাল আহমেদ জানান, আমরা বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে পূনঃনির্মাণের জন্য তালিকা সদর দপ্তরে পাঠিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজাম মুনিরা জানান, বিদ্যালয়গুলো জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে।